1. admin@sathikkhabor.com : JbSknUo :
  2. ratanbarua67@gmail.com : Ratan Barua : Ratan Barua
  3. baruasangita145@gmail.com : Sangita Barua : Sangita Barua
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

আনোয়ারায় টানেল নির্মাণ শেষ হলে পাল্টে যাবে অনেক কিছু

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৩৭৩ Time View

রুপন দত্ত, আনোয়ারা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় টানেল নির্মাণের ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা গড়ে উঠবে এবং এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপিত হবে। সরকারের অগ্রাধিকারের প্রথম থাকা দেশের প্রথম এই টানেল নির্মাণে কাজ করছেন চীনের প্রায় আড়াইশ ও দেশের ৬০০ কর্মী। শুরুর দিকে জটিলতা ও স্থবিরতা কাটিয়ে বেশ গতি পেয়েছে এই প্রকল্পটি।

এই গতি অব্যাহত থাকলে আগামী বছর নদীর তলদেশের ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হবে। ২০২০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে ৮ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরে ২০১৫ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় কাজে গতি না আসায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে প্রথম সংশোধনী অনুমোদন পায় ২০১৮ সালে।

সংশোধিত প্রকল্পে টানেল নির্মান বাবদ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এতে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার অনমনীয় ঋন দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। প্রকল্পে ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। সংশোধনের পরপরই প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি এসেছে বলে জানিয়েছে আইএমইডি।এই পর্যন্ত টানেলের কাজ এগিয়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। টানেলের একটি টিউবের কাজ শেষ হয়েছে।চলছে ২য় টিউবের কাজ।
সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চট্টগ্রাম শহরকে দুই ভাগে ভাগ করা কর্ণফুলী নদীর ওপরের তিনটি সেতু যানবাহনের চাপ সামাল দিতে পারছেনা। বাড়তি পলি জমার কারনে এ নদীতে আর সেতু নির্মন করা সম্ভব নয়।যানবাহনের চাপ সামাল দিতে সেতুর পরিবর্তে টানেল নির্মাণের উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। নদীর পূর্ব তীরে গড়ে উঠা শহরের সঙ্গে ডাউন টাউনকে যুক্ত করা, চট্টগ্রাম বন্দরের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো,ঢাকা চট্টগ্রাম কক্সবাজারের মধ্যে নতুন একটি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং চীনের সাংহাই শহরের মতো চট্টগ্রাম শহরকে ওয়ান সিটি টু টাউন মডেলে গড়ে তোলার উদ্দেশ্য প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই টানেল নির্মাণের ফলে নদীর পূর্ব প্রান্তের প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি পশ্চিম প্রান্তের চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরের সংগে উন্নত ও সহজ সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। এর ফলে শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত মালামাল চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর ও দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন প্রক্রিয়া সহজ হবে।ভ্রমণের খরচ ও সময় কমে আসবে।কর্ণফুলী নদীর পূর্ব প্রান্তের সাথে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের ফলে পূর্ব প্রান্তে পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে।

সার্বক ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজিকরণ, আধুনিকায়ন, শিল্প কারখানার বিকাশ সাধন এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে এ টানেল বেকারত্ব দূরীকরণসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করেন সবাই। কর্ণফুলী টানেল নিরমানের ফলে ঢাকা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপিত হবে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে ৪০ কিলোমিটার। এই টানেলে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019
Design Customized By:Our IT Provider