1. admin@sathikkhabor.com : JbSknUo :
  2. ratanbarua67@gmail.com : Ratan Barua : Ratan Barua
  3. baruasangita145@gmail.com : Sangita Barua : Sangita Barua
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন

১২৭ হত্যা মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১
  • ৩৫০ Time View

সঠিক খবর ডেস্ক : দেশে ১২৭টি হত্যা মামলার রহস্য তথ্যপ্রমাণের অভাবে উদ্ঘাটন করতে পারছে না পুলিশ। বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে মামলাগুলোর তদন্ত। গতিহীন হয়ে পড়েছে এর সঙ্গে জড়িতদের কাজ।

ফলে চাপ কমাতে পর্যায়ক্রমে ‘ক্লুলেস’ সব মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে যাচ্ছেন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এতে কোনোদিনই জানা যাবে না এসব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ। অন্ধকারেই হারিয়ে যাবে ঘাতক চক্র। এদের কেউ শাস্তিও পাবে না।

তবে ১২৭টির মধ্যে প্রায় অর্ধেক মামলার তদন্তে গাফিলতি ও ত্রুটিবিচ্যুতি পেয়েছে ঊর্ধ্বতন তদারকি কর্মকর্তারা। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ক্লুলেস হত্যা মামলা তদন্তের দুর্বল দিক হচ্ছে মরদেহের ডিএনএ প্রোফাইল ও ফিঙ্গার প্রিন্ট সংরক্ষণ না করা। মামলার শুরুতেই যদি তদন্ত কর্মকর্তারা ডিএনএ প্রোফাইল ও ফিঙ্গার প্রিন্ট সংরক্ষণ করতেন, তাহলে খুনিদের অনেকেই ধরা পড়ত। আসামি ধরা পড়লে হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদ্ঘাটিত হতো। কিন্তু কাজ দুটি করতে নিজস্ব অর্থ ব্যয় হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তারা সেটি করতে আগ্রহী হয়নি। এছাড়া এ ধরনের ‘ক্লুলেস’ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারার পেছনে দেশে ‘ন্যাশনাল প্ল্যাটফরর্ম’ না থাকাকেও একটি অন্যতম কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।

আইনবিদরা বলছেন, পৃথিবীতে খুনের মামলার রহস্য উদ্ঘাটন তুলনামূলকভাবে সহজ। কারণ অন্তত ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে যারা খুন হন, খুনি তাদের পূর্বপরিচিত। এজন্য তাদের খুঁজে বের করা সহজ। তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় খুঁজে পাওয়া না গেলে কাজটা কঠিন। নিহত ব্যক্তির পরিচয় খুঁজে পাওয়া না গেলে তদবিরকারকের অভাব থাকে। ফলে পুলিশের কাজও এক্ষেত্রে শিথিল হয়।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, এ ধরনের ক্লুলেস মামলা তদন্তে সুফল পাওয়ার জন্য ইউরোপে আছে ‘ইউরোপোল ডেটাবেজ।’ যেখানে সবাই সব তথ্য শেয়ার করতে পারে। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরাও। দেশেও ইউরোপোল ডেটাবেজের আদলে ‘ন্যাশনাল প্ল্যাটফরম’ নামে একটি ডেটাবেজ সেন্টার খোলা যেতে পারে। যেখানে হারানো বিজ্ঞপ্তি, অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ ও যে কোনো হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যে কেউ তথ্য দিয়ে রাখতে পারবে। তাহলে দেশেও এতসংখ্যক মামলার তদন্তে ব্যর্থ হবে না পুলিশ।

সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো সমস্যা নেই যে তার সমাধান নেই। সমাধান বের করতে হবে। আমরা কেস টু কেস দেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। সিআইডির মামলা তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কথা প্রচলিত আছে। ৩০/৪০ বছর ধরে একটা মামলা তদন্তেরও নজির আছে। এটা শুধু হয়েছে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে। আমরা এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এ ধরনের মামলা তদন্তে টাকার উৎস না থাকায় গাফিলতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ঠিক নয়। কর্মকর্তারা তদন্ত ভাতা পান। হত্যা, ডাকাতি, চুরি, প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধারার মামলার জন্য আলাদা আলাদা তদন্ত ভাতা দেওয়া হয়। আগে নিয়ম ছিল সংশ্লিষ্ট থানা থেকে ভাতার টাকা আনতে হতো। আমাদের কর্মকর্তারা ভাতা আনতে থানায় যেত না। এখন আমাদের কর্মকর্তাদের আমরাই ভাতা দেব। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এটা অনুমোদনও হয়েছে। আগামী মাসে সিআইডি থেকেই কর্মকর্তারা তদন্ত ভাতা পাবেন।’

পুলিশ সদরের বক্তব্য: তথ্যপ্রমাণের অভাবে ১২৭টি হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পেরে ক্লুলেস বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রতিটি মামলার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট অথবা চার্জশিট দেওয়ার আইনি বিধান আছে। তবে ঢালাওভাবে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়টি মোটেও যৌক্তিক নয়। এ ধরনের কোনো তথ্যও নেই। সূত্র : যুগান্তর।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019
Design Customized By:Our IT Provider