জেপিএস বড়ুয়া : সামনেই আসছে পহেলা বৈশাখ ১৪২৮। নববর্ষের এই আনন্দ- উল্লাসে মেতে উঠবে সমস্ত বাঙালি। আর এই দিনটিকে ঘিরে আমাদের মনে চলছে কতো জল্পনা-কল্পনা। যে যার প্রিয় মানুষকে নিয়ে সারাদিন ঘুরবে এখানে সেখানে। আর সেদিন শুভেচ্ছা বিনিময়ের সাথে সাথে হয়তো বা কেউ কেউ উপহার হিসেবে তুলে দেবে প্রিয় মানুষের হাতে তার প্রিয় জিনিসটা।
ঠিক তেমনি সাথীরও খুব ইচ্ছে হলো এই নববর্ষে সে তার প্রাণপ্রিয় মানুষটিকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দেবে। কারণ কিছুদিন আগে তার মোবাইলটি নষ্ট হয়ে গেছে। আর্থিক সমস্যার কারণে কিনতে পারছিলো না আরেকটা সেট সাথী তার সেই মনের কষ্টটুকু উপলব্ধি করতো ঠিকই কিন্তু মনের মানুষটাকে বুঝতে দিত না কিছুই। তাই সাথী চাইছে নববর্ষের অজুহাতে হলেও একটা মোবাইল তাকে কিনে দেবে। কিন্তু কি করে দেবে সাথী? কারণ তার পরিবার যদি কিছু মনে করে। এটা নিয়ে কয়েকদিন ভাবতে ভাবতে সাথীর মাথায় এলো সে শুধু তার প্রিয়জনকে নয় তাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে উপহার দেবে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাতদিন চব্বিশটা ঘণ্টা শুধু এই উপহারগুলো নিয়ে ভাবত। কখন কিনবে, কিভাবে পাঠাবে, ওরা কে কি ভাববে এইসব। হঠাৎ সাথীর মাথায় প্ল্যান এলো সে গিফট বক্সের উপরে প্রেরকের কোনো ঠিকানা লিখবে না। সবাইকে চমকে দেবে।এসব চিন্তা নিয়ে সাথী বেশ কয়েকদিন খোশমেজাজেই দিনাতিপাত করল।
কিন্তু আজ হঠাৎ সাথীর মাথায় যেন কিছু দুঃচিন্তা ভর করল। থামিয়ে দিল এতোদিনের সব পরিকল্পনা। সে আবার গুটিয়ে নিল নিজেকে। সবসময় আনমনা হয়ে কি যেন ভেবে চলেছে সে।
আসলে নিজের সাধ ও সাধ্য দুটোই থাকা সত্ত্বেও প্রিয়জনের হাতে প্রিয় জিনিসটি তুলে দিতে না পারার কষ্ট যে কতখানি সেটা শুধু অনুভব করতে পারবে তারাই যারা প্রকৃত ভালবাসা বুঝে। তারাই উপলব্ধি করতে পারবে সাথীদের সেই বোবা কান্নার ভাষা।
Leave a Reply