মীরসরাই প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা থেকে ৩ দালাল ও ১০ রোহিঙ্গাকে (শিশুসহ) আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। তারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে দালালের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য পালিয়ে এসেছিল মীরসরাইয়ের উপকূলীয় এলাকায়।
রোববার দিবাগত মধ্যরাতে তাদের উপজেলার ইছাখালী এলাকা থেকে আটক করা হয়। রোহিঙ্গাদের পালাতে সাহায্য করা দালাল চক্রের তিন সদস্যকেও আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ মে রাতে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে দালালদের সাহায্য নিয়ে ইঞ্জিনচালিত বোটে সাগর পার হয়ে ৩ শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ মীরসরাইয়ের ইছাখালী এসে অবস্থান নেয়। এ সময় খবর পেয়ে দালাল চক্রের ৩ সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের আটক করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
আটক হওয়া দালাল চক্রের সদস্যরা হলো- নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বেলাল হোসেন (২৮), একই এলাকার মো. জুয়েল (২০) ও সন্দীপ উপজেলার দিদারুল আলম (২১)।
আটক রোহিঙ্গারা হলো- নূরজাহান বেগম (২০), রেহানা আক্তার (১৯), আছিয়া বেগম (১৮), নূর খাইয়াছ (২৫), মিনারা বেগম (২০), মনিয়া বেগম (২০), কহিনা আক্তার (৩২), জিসান (১০), জান্নাতুল নাঈমা (৮) ও জেসমিন আক্তার (১২)।
মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, এসব রোহিঙ্গা দালাল চক্রের সাহায্যে সাগর পার হয়ে জোরারগঞ্জের ইছাখালী ইউনিয়ন এলাকায় আসলে খবর পেয়ে তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, দালাল চক্রের সদস্যরা জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের মালয়েশিয়া পাঠাবে বলে মীরসরাই এলাকার উপকূলের চরশরত এলাকায় নৌকায় করে এনে হেঁটে হেঁটে আরেক এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। দালাল চক্র আরেকটি চক্রের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া করছিল। দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বৈদেশিক আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানা গেছে, ইতোমধ্যে আরও কিছু রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে এভাবে পাড়ি দিয়েছে বিভিন্ন দালাল চক্রের মাধ্যমে। কিন্তু শেষপর্যন্ত কারো না কারো মাধ্যমে ধরা পড়ে যায় তারা।
Leave a Reply