1. admin@sathikkhabor.com : JbSknUo :
  2. ratanbarua67@gmail.com : Ratan Barua : Ratan Barua
  3. baruasangita145@gmail.com : Sangita Barua : Sangita Barua
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২২ অপরাহ্ন

মাদকে ঝুঁকছে তরুণ : নতুন মাদক ম্যাজিক মাশরুম উদ্ধার, সেবনে হ্যালুসিনেশন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ২৫৪ Time View

সঠিক খবর ডেস্ক : জীবন বিধ্বংসী নতুন নতুন মাদকে ঝুঁকছে তরুণ প্রজন্ম। আর শহরে নতুন নতুন মাদকের খোঁজ মিলে তা উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এবার উদ্ধার করা হয়েছে নতুন মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম’। এই মাদক যদি কেউ ৫ থেকে ১০ মিলিগ্রাম সেবন করে তাহলে হ্যালুসিনেশন শুরু হয় এবং এর প্রতিক্রিয়া ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। পর মানসিক রোগ- সাইকোসিস ছাড়াও অবিরাম হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে। এছাড়াও অনিদ্রা হয়, চোখ ফুলে যাওয়ার কারণও হতে পারে।

বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১০-এর একটি বিশেষ দল রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে মাদক চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নাগিব হাসান অর্ণব (২৫), ও তাইফুর রশিদ জাহিদ (২৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুমে’র ৫টি বারে ১২০টি স্লাইস এবং দুই বোতল বিদেশি মদ।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নতুন মাদক ম্যাজিক মাশরুমে’ সেবন করার পর জীব-জন্তুর সঙ্গেও কথা বলা শুরু করে মাদকসেবীরা। কখনো কখনো অক্সিজেনের জন্য গাছ জড়িয়ে ধরার মতো কাণ্ডও করে। এই মাদক মূলত উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণেরা সেবন করে থাকে।

তিনি বলেন, ম্যাজিক মাশরুম একটি সাইকেলেডিক (হ্যালোসিনোজেন) ড্রাগ। এই ড্রাগটি বিভিন্ন খাবারে- কেক ও চকলেট মিক্স অবস্থায় সেবন করা হয়। এছাড়াও পাউডার ক্যাপসুল হিসেবেও পাওয়া যায়। এই ড্রাগ ব্যবহারে সেবনকারীর নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এমনকি কেউ কেউ ছাদ থেকে ঝাঁপিয়েও পড়তে পারে।

ম্যাজিক মাশরুম সেবনে শারীরিক ক্ষতি ছাড়াও দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে মানসিক রোগ- সাইকোসিস ছাড়াও অবিরাম হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে। এই ধরনের অপ্রচলিত ড্রাগের চাহিদা তৈরি হয় মাদক সেবীদের নতুনত্বের প্রতি আগ্রহের মাধ্যমে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, তাইফুর রশিদ জাহিন প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ জন্মানো বিভিন্ন মাশরুমের মধ্যে সাইকেডেলিক বা ম্যাজিক মাশরুম আছে কি-না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে সে ব্যর্থ হওয়ার পর, ডার্ক সাইটে ম্যাজিক মাশরুমের খোঁজ করতে শুরু করে। ডার্ক সাইটে ম্যাজিক মাশরুমের খোঁজ পাওয়ার পর সে বিদেশে অবস্থানরত তার বন্ধু ও পরিচিতদের ম্যাজিক মাশরুম বাংলাদেশে নিয়ে আসার অনুরোধ জানায়।

তিনি আরও বলেন, কানাডায় অবস্থানরত তার বাল্যবন্ধু গ্রেপ্তার নাগিব হাসান অর্ণব অধিক মুনাফা লাভের আশায় তাইফুর রশিদ জাহিনের এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। তাইফুর ম্যাজিক মাশরুমের বারগুলো বাংলাদেশে বিক্রির ব্যবস্থা করে।

র‌্যাব জানায়, নাগিব হাসান অর্ণব বাংলাদেশে এসএসসি পর্যন্ত অধ্যয়ন করে। এ সময় তাইফুর রশিদ জাহিদ তার সহপাঠী ছিল। অর্ণব পরবর্তীতে ২০১৪ সালে কানাডায় চলে যায়। কানাডায় একটি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন শেষে সেখানে চাকরি করছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019
Design Customized By:Our IT Provider