সঠিক খবর ডেস্ক : চলতি বছর আমন ধান, চাল ও গমের সরকারি সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে গত বছরের তুলনায় চালের দাম কমেছে, অন্যদিকে বেড়েছে আমন ধানের দাম।
খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য প্রতিকেজি ২৭ টাকা, যা গত বছর ছিলো ২৬ টাকা; চালের মূল্য প্রতিকেজি ৪০ টাকা, যা গত বছর ছিলো ৩৬ টাকা; এ ছাড়া গমের মূল্য প্রতিকেজি ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার (৩১ অক্টোবর) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
সভায় জানানো হয়, চলতি অর্থ বছরে (২০২১-২২) উল্লিখিত মূল্যে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। এ সময়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন আমন ধান, ৫ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ক্রয় করা হবে। এ ছাড়া আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১.৫ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তা মজুতও বৃদ্ধি করতে চায়। বেরো ধান সংগ্রহে সফল হয়েছে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় আমন সংগ্রহেও সফলতা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে ধানের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুনসহ আরো বেশ কিছু কৃষি পণ্য উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণের অভাবে কৃষক ন্যায্যমূল্য হতে বঞ্চিত হয়। দেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়া, শিল্পকারখানা বৃদ্ধি পাওয়া এবং নন হিউম্যান কনজামশন বেড়ে যাওয়ার পরও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ধানের উৎপাদন টেকসই করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য পণ্যসহ আরো বেশ কিছু পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন হলে রপ্তানি সম্ভাবনা আরও বাড়বে।
Leave a Reply