কে এম রাজীবঃ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিশোরগ্যাং হামলায় ছুরিকাঘাতে নিহত জাহাঙ্গীর আলমের হত্যার ন্যায় বিচার তার পরিবার পাবে বলে জানিয়েছেন সামাজিক ও মানবিক আইনজীবী এডভোকেট আনোয়ার হোসেন। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে তার নিজ চেম্বারে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
এডভোকেট আনোয়ারের এই মানবিক কার্যক্রমের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় নিহত জাহাঙ্গীরের পরিবারের পাশে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এবং মানবিক দিক থেকে আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করণে বাদী পক্ষকে বিনা খরচে আমি আমার অবস্থান থেকে আইনি সহায়তা প্রদান করে যাবো। যেহেতু থানা একটা সুন্দর এজাহার সাহায্য করেছে সেহেতু আমি মনে করি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং মামলার সাক্ষীরা যদি মাননীয় আদালতকে বুঝাতে পারে এবং পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাহেব যদি সহযোগিতা করেন তাহলে জাহাঙ্গীর হত্যায় ন্যায় বিচার পাবে তার পরিবার। কারণ মামলাটি ছিলো মারামারি এবং হত্যার চেষ্টা। এখন যখন ভিকটিমের মৃত্যু হয়েছে এখন মামলা হবে হত্যা মামলা। আশা করি সেই ক্ষেত্রে আদালত আমাকে সহযোগিতা করবেন এবং আমি জাহাঙ্গীরের পরিবারের পক্ষ হয়ে আদালত যেন আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেন সেই ভাবে আমি আমার আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।
এডভোকেট আনোয়ারের এমন উদ্যােগের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুধু এটি নয় এর আগেও আমি অনেক বয়োবৃদ্ধ পিতা মাতা সক্ষম এবং সামর্থ্যবান সন্তানদের কাছে অবহেলিত হয়েছে, সন্তানদের কাছ থেকে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে সে সকল অসহায় পিতা মাতার পক্ষে আমি বিনা খরচে আইনি লড়াইয়ে মাধ্যমে সন্তানদের কাছ থেকে ভরণ পোষণ আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। আমি চাই সমাজের অসহায় নির্যাতিত মানুষ গুলো, সন্তানদের কাছে অবহেলিত পিতা মাতারা যেন ন্যায্য বিচার পায় সে ক্ষেত্রে আমি একজন মানবিক আইনজীবী হয়ে বিনা খরচে তাদের আইনি সহায়তা প্রদান করে যাবো এবং সার্বক্ষণিক অসহায় নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে আমার এ মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য গত ১০ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজ নগর গ্রাম এলাকায় হল ২১ কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন আজিম হাকিম স্কুল এন্ড কলেজের সামন সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে অটোরিকশা চালক ইয়াছিনের সঙ্গে নিহতের ভাই কায়সারের সাথে ঝগড়া হয়। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রুবেল ঘটনাস্থলে আসে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে জাহাঙ্গীরের পেটে ছুরিকাঘাত করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ১৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে চমেকের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। এবিষয়ে
কর্ণফুলী থানায় নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নুরতাজ বেগম বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পরবর্তীতে ওই মামলার ভিত্তিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী হয়ে আইনি লড়াইয়ে লড়ছেন এডভোকেট আনোয়ার হোসেন।
Leave a Reply