কে এম রাজীবঃ নগরীতে দূর্ঘটনা রোধে, ট্রাফিক আইন মেনে চলা ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করণে জনসাধারণ ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক ও ড্রাইভারদের সচেতন করার লক্ষে ” জীবনের আগে জীবিকা নয়, সড়ক দুর্ঘটনা আর নয় ” এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কর্তৃক ট্রাফিক বিভাগের ” ট্রাফিক সপ্তাহ-২০২২” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার ( ৪ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় নগরীর জিইসি মোড়স্থ জিইসি কনভেনশন হল সেন্টারে এই কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহবান জানিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, জীবনের আগে জীবিকা নয়, সড়ক দুর্ঘটনা আর নয়। ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করুন। নগরীর সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক ও ড্রাইভারদের ভেরিফাইড কাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে বার হাজার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল সিএনজি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হবে।মালিক ও ড্রাইভারদের সব তথ্য পুলিশ সার্ভারে জমা রেখে প্রত্যেককে একটি আলাদা কিউআর কোড ও নিউম্যারিক আইডি কার্ড দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা পরবর্তীতে স্কুল শিক্ষার্থীদের সচেতনতার লক্ষে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যদি সেশনে সহযোগিতা করে তাহলে ওখানেও এ কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখবো এবং চালক যাত্রীদের সহযোগিতা যদি আমরা এ কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ বলেন, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করার লক্ষে সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। শুধু যানবাহন নয়, আমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আইন সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষে পদক্ষেপ নিয়েছি। সিএমপি’র পক্ষ থেকে আমরা সপ্তাহব্যাপী ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে নগরীর প্রতিটি এলাকায় একটি গাড়ির মাধ্যমে সচেতনতা মাইকিং করে যাবো। অনুষ্ঠান শেষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথের নেতৃত্বে ওমিক্রনে সচেতনতায় সড়কে চলাচলরত সিএনজি, প্রাইভেট গাড়ি ও রিক্সা সহ যাত্রী এবং চালকদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (সিএমপি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলমসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply