নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ইতিহাস গড়ে টানা তিনবার মেয়র পদে জয় পেলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে টানা তৃতীয় মেয়াদে জয় পেয়ে চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
ডা. আইভী ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায়ও ২০০৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আইভী। ওই সময় থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে পরাজিত করে জয়ী হন আইভী। ওই নির্বাচনে ভোট পড়ে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৬টি। নৌকা প্রতীকে আইভী ভোট পান ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১টি। আর সাখাওয়াত হোসেন খান পান ৯৬ হাজার ৪৪টি। ওই বছর তিনি ধানের শীষের প্রার্থীর চেয়ে ৭৯ হাজার ৫৬৭ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।
আর রোববার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে ৬৯ হাজার ১০২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি।
অনানুষ্ঠানিক ফলে জানা গেছে, ১৯২ কেন্দ্রের মধ্যে সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। অন্যদিকে তৈমুর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। ভোট পড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
রোববার রাতে অনানুষ্ঠানিক ফলে জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নিজ বাসায় সাংবাদিকদের বলেন, এ জয় উৎসর্গিত নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য, এ জয় উৎসর্গিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। আমি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সবার জন্য কাজ করব, নারায়ণগঞ্জের জন্য কাজ করব। আমাকে বিজয়ী করায় নারায়ণগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য।
অপরদিকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। রাত ৮টার পর মাসদাইরে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, প্রশাসনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইভিএম কারচুপির কারণে আমার পরাজয়। ইভিএম একটি চুরির বাক্স। এ পরাজয়কে পরাজয় মনে করি না। তিনি বলেন, এটা খেলা হয়েছে সরকার ভার্সাস জনগণ, সরকার ভার্সাস তৈমুর আলম খন্দকার।
Leave a Reply