নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেনী সোনাগাজী থানার সুলাখালী গ্রামের ২০১৬ সালে শিশু রকি হত্যা মামলার হোতা ও হত্যার মূল আসামি মাঈনউদ্দিন (৩২) কে গ্রেফতার করেছে ফেনী জেলার পিবিআই পুলিশ। গত ১৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪ টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ফেনী সদর থানাধীন দক্ষিণ চাড়িপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা আসামিকে গ্রেফতার করে পিবিআই পুলিশ।
সূত্রে জানা যায়, ফেনীর জেলার সোনাগাজী থানাধীন সুলাখালী গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া ১০ম শ্রেনীর ছাত্র কামরুল ইসলাম রকি (১৬) কে গত ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল আসামি মোঃ মাঈনউদ্দিন (৩২) ও অপরাপর আসামীসহ ২৫/৩০ জন অজ্ঞাতনামা আসামিরা সুলাখালী বাজারে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পালিয়ে যায়।পরর্বতীতে রকির পরিবার বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল থেকে রকিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মিরশ্বরাই থানা এলাকায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে হত্যার বিষয়ে মামলা হলে মামলাটি ফেনী পুলিশ, সিআইডি ফেনী জেলা তদন্ত করিলেও বিজ্ঞ আদালতে উক্ত তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ সাপেক্ষে পিবিআই ফেনীকে অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি পিবিআই ফেনীর পুলিশ পরিদর্শক ২০২০ সালে তদন্ত করেন। তিনি অন্যত্র বদলি হলে পিবিআই ফেনী জেলার সু্যোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান কে মামলার পরবর্তী তদন্তভার ২০২২ সালের জুন মাসে অর্পণ করা হয়।
মামলার তদন্তভার গ্রহণ করার পর মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা ও ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান। গত ১৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪ টায় পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান এর দিক নির্দেশনায়, পিবিআই হেডকোয়ার্টারের তথ্য ও প্রযুক্তির তথ্য মোতাবেক প্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করিয়া, গুপ্তচরদের তথ্যের ভিত্তিতে, পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সঙ্গীয় চৌকস অফিসার এসআই অমির কান্তি দে, এএসআই রেজাউল করিম, কং মোবারক, কং হারুন, কং পলাশ ও ড্রাইভার কং মিলন এর সহায়তায় ফেনী সদর থানাধীন দক্ষিণ চাড়িপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা কালে মামলার ২নং এজাহার নামীয় আসামি মোঃ মাঈনউদ্দিন কে গ্রেফতার করি। গ্রেফতার কালে মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদ কালে আসামি মাঈনউদ্দিন মামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং অপরাপর আসামির নাম প্রকাশ করে। সে উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে অনুতপ্ত হয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়।
Leave a Reply