মিতা দাশ
কবি ও লেখক।
একঘেয়েমি জীবনে সকল মানুষই কেমন যেন হাফিয়ে ওঠে।একটানা সকাল সন্ধ্যা কাজ তারপর আবার সংসারের বোঝা, হিসাব নিকাশ, পরিবারের সকলের মন জুগিয়ে সব কাজ করা, এ যেন জীবনকে কেমন বিষাদময় করে তোলে।
যাদের ঘিরে আমাদের এত দৌড়ানো, তারাই প্রথম কষ্ট ও আঘাত দিয়ে থাকে মনে। তারা একটিবারের জন্য ও আমাদের কাজের মূল্য দেয় না,মনের ক্ষতগুলো দেখতে পাই না।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে যাদের পছন্দ অপছন্দ ভেবে ছুটে আসি আমরা, প্রিয় জিনিস নিয়ে, হয়তো আসার পর দেখা যায়, বিপরীত চিত্র। প্রশংসা তো দূরে থাক বরং দেখতে পাই উল্টো কোন বাজে দোষে নিযুক্ত করে তার জবাবদিহিতায় ওষ্ঠাগত করে তোলে প্রাণ।
প্রিয় মানুষ গুলো কাছে থাকতে কোন মূল্যায়ণ পায় না।হঠাৎ যখন দূরে চলে যায়, তখন একটু একটু করে বুঝতে পারে ভালোবাসার মর্ম, অনুভব করে একাকীত্ব ও শূন্যতা।
তাই কখনো কখনো মানুষ হারিয়ে যেতে চায় দূরে বহুদূরে।
এই যান্ত্রিক জীবনে মানুষের মন গুলো কেমন যেন যান্ত্রিক হয়ে গেছে। ভালোবাসা এখন বেশ ফিকে। রং হালকা হয়ে গেছে প্রেমের ও বসন্তের।
অভিনয় করে বিয়ে, পারিবারিক অনুষ্ঠানে, ও বেড়াতে গিয়ে হেসে ছবি তোলা হয় বটে মিডিয়াতেও দেয়া হয় বেশ বড় উপরে নাটকীয় কিছু সুন্দর সুন্দর সংলাপ দিয়ে কিন্তু ছবির আড়ালে কি চলে তা একমাত্র নিজেরাই বুঝতে পারে। এই অভিনয়েও যখন মানুষ হাফিয়ে ওঠে, তখন সত্যিই প্রকৃতির মাঝে বা সমুদ্রের কাছে চলে যেতে ইচ্ছে করে।
তাই ব্যক্তি জীবনে কিছু কিছু সময় দূরত্ব প্রিয়জনকে আরো প্রিয় করে কাছে নিয়ে আসে।
দূরত্বের ব্যবধান বুঝিয়ে দেয় আপন জনের কাছে না থাকার কষ্টটা। তখন আবার কাছে আসে আপন হয়ে খুব প্রিয় হয়ে।
Leave a Reply