সঠিক খবর ডেস্ক : ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক মন্দায় পড়বে বিশ্ব। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) জরিপে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সরকারি-বেসরকারি খাতের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থনীতিবিদ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১৮ শতাংশের মতে, চলতি বছর ‘তীব্র মন্দা’য় পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি।
ডব্লিউইএফের সেন্টার ফর দ্য নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটির ‘দ্য জানুয়ারি ২০২৩ চিফ ইকোনমিস্টস আউটলুকে’ এ তথ্য জানানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের এক-তৃতীয়াংশের বিবেচনায় এ বছর বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা কম। জরিপটি পরিচালনা করা হয় ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে।
আঞ্চলিকভাবে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি বেশ কঠিন। এই দুই অঞ্চলে দুর্বল বা খুব দুর্বল প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছেন শতভাগ অর্থনীবিদ। যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আকার দেবে। জরিপে অংশগ্রহণকারী অর্থনীতিবিদদের মতে, নতুন ভূ-রাজনৈতিক ও ভূতাত্ত্বিক ত্রুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ধরনে পরিবর্তন আসবে। ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে শক্তিশালী অঞ্চলে পরিণত হবে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (এমইএনএ) এবং দক্ষিণ এশিয়া।
জরিপে উত্তরদাতাদের ৮৫ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়ায় এবার উচ্চ প্রবৃদ্ধির আশা করছেন। তারা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলো এখন আর উৎপাদনে চীনের ওপর নির্ভরশীল থাকতে চাইছে না। আমদানি উৎসে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে তারা। এমন আরও অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে পশ্চিমারা। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ, ভারতসহ এ অঞ্চলের বেশ কিছু অর্থনীতি লাভবান হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর কমবে মূল্যস্ফীতির হার। গত বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের প্রায় সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুদহার বাড়িয়েছে। কিন্তু চলতি বছর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে মুদ্রানীতি শিথিল থাকবে বলে বিশ্বাস অর্থনীতিবিদদের। উত্তরদাতাদের ৫৭ শতাংশ বলছেন, ইউরোপে উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা যেতে পারে। চীনে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির আভাস দিয়েছেন তারা।
Leave a Reply